Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

সংক্ষেপে প্রবেশন এন্ড আফটার কেয়ার সার্ভিস

 

প্রবেশন এন্ড আফটার কেয়ার সার্ভিস

সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধ এবং বিগদগামী তরুণ প্রজন্মকে সঠিক সরল পথের সন্ধান দেওয়ার সাথে সাথে রাষ্ট্রের বোঝা থেকে সম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে সমাজসেবা অধিদফতরের প্রবেশন ও আফটার কেয়ার সার্ভিস প্রধান ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সাধারনত, লঘু অপরাধী, প্রথম অপরাধী এবং আইনের সংস্পর্শে আসা বা আইনের সাথে সংর্ঘষে জড়িত শিশুদের ন্যায়বিচারের স্বার্থে এবং ভবিষ্যৎ সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা হিসাবে সমাজে রেখে সংশোধন করে স্বাভাবিক জীবনে অভ্যস্ত করে তোলার লক্ষ্যে প্রবেশন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিনেন্স ১৯৬০, কারাগারে আটক সাজাপ্রাপ্ত নারীদের বিশেষ সুবিধা আইন ২০০৬  এবং শিশু আইন ২০১৩ মোতাবেক সমাজসেবা অধিদফতর প্রবেশন ও আফটার কেয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। প্রবেশন কালের সমাপ্তিতে বা কারাগার থেকে মুক্ত নারী/পুরুষ বা কারাগারে আটক সাজাপ্রাপ্ত নারীদের বিশেষ সুবিধা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্টদের সমাজে পুনঃএকত্রিকরণের লক্ষ্যে আফটার কেয়ার কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

প্রবেশন কী ও কেন?

প্রবেশন বলতে কোন অপরাধীকে তার প্রাপ্য শাস্তি স্থগিত রেখে, কারাবদ্ধ না রেখে বা কোন প্রতিষ্ঠানে আবদ্ধ না করে সমাজে খাপ খাইয়ে চলার সুযোগ প্রদান করাকে বোঝায় । প্রবেশন ব্যবস্থায় প্রথম ও লঘু অপরাধে আইনের সাথে সংঘর্ষে বা সংস্পর্শে  আসা শিশু-কিশোরেরা বা অন্য কোন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যাক্তিকে প্রথম ও লঘু অপরাধে দায়ে কারাগারে বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে না রেখে আদালতের নির্দেশে প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে এবং শর্ত সাপেক্ষে তার পরিবার ও সামাজিক পরিবেশে রেখে কৃত অপরাধের সংশোধন ও তাকে সামাজিকভাবে একিভূত করণের সুযোগ দেয়া হয়।

  • প্রবেশন একটি অপ্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিক সংশোধনী কার্যক্রম। এটি অপরাধীর বিশৃঙ্খল ও বেআইনি আচরণ সংশোধনের জন্য একটি সুনিয়ন্ত্রিত কর্ম পদ্ধতি। এখানে অপরাধীকে পুনঃঅপরাধ রোধ ও একজন আইনমান্যকারী নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার জন্য সহায়তা করা হয়।
  • দি প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স১৯৬০(১৯৬৪ সনে সংশোধিত) এর আওতায় ক্ষমতা প্রাপ্ত আদালত শর্ত সাপেক্ষে ১(এক) থেকে ৩(তিন) বছরের জন্য প্রবেশন মঞ্জুর করতে পারে। তবে শিশু আইন ২০১৩ এর ৩৪(৬) ধারা অনুযায়ী শিশু-কিশোরদের জন্য এ আইনগত সুবিধা অগ্রাধিকার পায়।

উপরোক্ত ২ টি আইনের আওতায় বিজ্ঞ বিচারকদের সহায়তা করার জন্য, আদালতের শর্তাবলী যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য এবং তত্তাববধান ও সংশোধনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সমাজসেবা অধিদফতরের প্রবেশন অফিসারদেরকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

কিভাবে প্রবেশনের সুযোগ পাওয়া যায়?

প্রবেশন মঞ্জুর করা বিজ্ঞ আদালতের একটি স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা। বিজ্ঞ আদালত মামলার কাগজপত্র ও সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে  স্ব-উদ্যোগ প্রবেশন মঞ্জুর করতে পারেন।

  • প্রবেশন ব্যবস্থায় বিচার কার্যের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর কোন ব্যক্তি যখন আইনের দৃষ্টিতে দোষী সাব্যস্থ হওয়ার উপক্রম হয় কিংবা ব্যক্তি যদি দোষ স্বীকার করে তখন বিজ্ঞ আদালতের কাছে প্রবেশনের সুযোগ পাওয়ার জন্য আদালতের গোচরিভূত করা যায়।
  • আদালত যদি উপযুক্ত মনে করেন যে, আইনের অধীনে প্রবেশন আদেশের শর্তাবলী পালনে অঙ্গীকারাবদ্ধ করে অপরাধী তার সংশোধন ও পুনর্বাসনে উপকৃত হতে পারে, তখন আদালতে নিয়োজিত প্রবেশন অফিসারকে অপরাধীর চরিত্র, প্রাক বংশ পরিচয়, পারিবারিক পারিপাশ্বিক ও তথ্যাদি বা অবস্থাদি তদন্ত করে একটি প্রাক দন্ডাদেশ প্রতিবেদন আদালতের নিকট দাখিল করার অনুরোধ করেন।
  • তদন্তে প্রবেশন অফিসার যদি বুঝতে পারেন যে, অপরাধীর প্রবেশনের বা সমাজ ভিত্তিক সংশোধনের সুযোগ রয়েছে তা হলে তিনি প্রবেশনের সুপারিশ করেন। অন্যথায় অপরাধীকে শান্তি পেতে হয়।
  • শিশুদের ক্ষেত্রে প্রবেশন অফিসারকে শিশু আইন ২০১৩ এর ৩১(২) ধারা মোতাবেক কোন শিশু আদালতে হাজির করার দিন হতে এনধিক ২১ দিনের মধ্যে সরেজমিন তদন্তপূর্বক শিশু’র পারিবারিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আর্থিক, মনস্তাত্ত্বিক, নৃতাত্ত্বিক ও শিক্ষাগত যোগ্যতা, পটভূমি এবং কোন এলাকায় বা কোন অবস্থায় অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তার বর্ণনা সম্বলিত একটি সামাজিক অনুসন্ধান প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে হয়।